Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped

খুলনা জেলা কারাগারের তথ্য বাতায়নে স্বাগতম।কারাগারে আটক বন্দির অসুস্থতার কথা বলে বিকাশ, রকেট, নগদ বা যে কোন ব্যাংকে অর্থ গ্রহণ করা হয় না।সরকারী নিয়ম অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করা হয়। কেউ এ ধরনের কারাগারের পরিচয় দিয়ে অর্থ চাইলে আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীকে বা অত্র দপ্তরে যোগাযোগ করার জন্য বলা যাচ্ছে। 


শিরোনাম
20 বছর কনডেম সেলে অবস্থানকারী হত্যা মামলার একজন মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীকে খালাস প্রদানের গল্প।
ছবি
ডাউনলোড

মৃত্যুদন্ডাদেশপ্রাপ্ত বন্দির নাম শেখ জাহিদ পিতার নাম শেখ ইলিয়াস আহমেদ, গ্রাম-নারকেলী চাঁদপুর, থানা রূপসা, জেলা-খুলনা। গত 25.06.2000 তারিখে বিজ্ঞ দায়রা জজ, বাগেরহাট কর্তৃক মৃত্যুদন্ডাদেশপ্রাপ্ত হয়। সেখান থেকে কনডেম সেলে তার নিবিড় বসবাস শুরু হয়। তারপর 23.11.2004 সালে তার মৃত্যুদন্ডাদেশ মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ, ঢাকা কর্তৃক বহাল রাখা হয়। উক্ত বহালের আদেশের বিরুদ্ধে তিনি মহামান্য সুপ্রীমকোর্টের এ্যাপীলেট ডিভিশনে ক্রিমিনাল পিটিশন ফর লিভ টু আপীল আবেদন করেন। আপীল আবেদন করার পর 16 বছর অতিক্রান্ত হয়ে যায় কিন্তু কোনরুপ বিচারের খবর হয় না। 

 

ইতোমধ্যে খুলনা জেলা কারাগারে জেল সুপার হিসাবে মোঃ ওমর ফারুক যোগদান করেন। তিনি কারাভ্যন্তরে দৈনিক ফাইলে গেলে উক্ত বন্দি জেল সুপারের কাছে তার অসহায়ত্বের কথা বর্ণনা করে  বিনীত আবেদন জানান। জেল সুপার বিষয়টি জেলার ও ডেপুটি জেলারকে যথাযথ আন্তরিকতার সাথে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেন। উক্ত নির্দেশের প্রেক্ষিতে ডেপুটি জেলার মোঃ ফখরউদ্দিন সংশ্লিষ্ট বন্দির ফাইল পর্যালোচনা করে এবং মহামান্য হাইকোর্টের লেগ্যাল এইড কর্মকর্তা এ্যাডভোকেট রিপন( মোবাইল নং-01712-762007) এর সাথে যোগাযোগ করে আনুসাংগিক কাগজপত্রাদি তার মেইল নম্বরে (rpsku@yahoo.com) গত 01.03.2020 তারিখে পাঠানো হয়। 

 

তারই প্রেক্ষিতে মহামান্য সুপ্রীমকোর্ট উক্ত বন্দিকে খালাস প্রদান করলে 31.08.2020 তারিখে সংশ্লিষ্ট বন্দিকে অত্র কারাগার হতে মুক্তি প্রদান করা হয়। একজন জেল সুপারের আন্তরিক নির্দেশনায় এবং জেলার ও ডেপুটি জেলার এর আন্তরিক প্রচেষ্টায় এহেন একজন নিতান্ত অসহায় মৃত্যুদন্ডাদেশপ্রাপ্ত বন্দি বেকসুর খালাস পেল। এটা নিঃসন্দেহে একটা ব্যতিক্রম গল্প। যা আমাদেরকে আরো ভাল কাজ করার উৎসাহ যোগাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।